----ধাতু ক্ষয় রোগের প্রতিকার---

আসলামুআলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছো তোমরা, আশা করি ভালোই আছো।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আপনার মন ভালো থাকবেনা। আর মন ভালো না থাকলে আপনার কোন কিছুই ভালো লাগবেনা এবং কোন কাজে মন বসবেনা। আর আপনাকে বেচে থাকতে হলে অবশ্যই সাস্থের প্রতি সচেতন হতে হবে। কিন্তু আপনার সাস্থের প্রতি অন্যকেও এসে খেয়াল রাখবেনা নিজেকেই সচেতন হতে হবে। তাই আজকের আমাদের প্রধান বিষয় হলো ধাতু ক্ষয় ও তার প্রতিকার। প্রথমে আমরা জেনে নেবো যে এই ধাতু ক্ষয় আসলে জিনিসটা কি ? কি এই রোগ ? বন্ধুরা কোনো জিনিস সঠিক না জেনে তার চিকিৎসা করাটা অত্যন্ত খারাপ। আমরা সবার প্রথমে জেনে নেবো যে ধাতু রোগ আসলে রোগ টা কি ?
অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা । এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে এটা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।
বয়স অনুসারে বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই কিশোর বয়সের শুরুর কিছু পর হতে ধাতুর সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে কোন কারণে শারীরিক ও মানসিক উত্তেজনা বিরাজ করলে , এটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া , এটি কোন রোগ নয় , তবে এর জন্য নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত করে নিলে ধীরে ধীরে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব । তবে এটি তখনি সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয় এবং তা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোন বিঘ্ন করে।
অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা । এ ধরনের সমস্যায় স্বপ্নদোষ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গে আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ধাতু দৌর্বল্য এর কারণ
যৌবনকালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র বা বীর্য ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে। আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে, অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না। ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
ধাতু দৌর্বল্য এর লক্ষণ
স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা জলের মত। নির্গত শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়। শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় বা বীর্য পাত হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়। সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়।, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।
জটিল উপসর্গ
অতিরিক্ত অপুষ্টি রোগ ভোগ, রক্ত শুন্যতা, দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ইহাতে তেমন জটিল উপসর্গ দেখা দেয় না। যাদের হরমোনের অভাব হয় বা বীর্যে শুক্রকীট থাকে না তাদের অনেক সময় এর দরুন সন্তান হয় না। এছাড়া শুক্রের ঘনত্ব (viscosity) নস্ট হওয়ার কারণে ইহা অতি সহজেই নির্গত হয় এবং এর ফলে যৌন আনন্দ পাওয়া যায় না। অনেক সময় এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মানসিক অশান্তি দেখা দেয় এবং নানা পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই উপসর্গযুক্ত পুরুষদের স্ত্রীরা মানসিক অশান্তি এবং হতাশায় ভোগে। পরোক্ষভাবে সাংসারিক অশান্তি এই রোগের একটি জটিল উপসর্গ বলা যেতে পারে। আমরা এতক্ষন জানলাম এই ধাতু ক্ষয়ের রোগের সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে। এখন আমরা জন্য যে এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। বা এর প্রতিকার বা প্রতিরোধ কিভাবে করা যায়।
যথাযথ চিকিৎসায় ধাতু দৌর্বল্য স্পারম্যাটোরিয়ার সমস্যাটা একেবারে মূল থেকে নির্মূল হয়ে রোগী পুরুপুরি সুস্থ হয়ে উঠে । তার জন্য খুব বেশি দিন ধরে ঔষধও খাওয়া লাগে না । তাই এ ধরনের সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে অযথা উত্তেজক এবং ক্ষতিকর ঐসব ঔষধ খেয়ে খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ না করে যথাযথ চিকিত্সা নিন , এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন এবং খুব দ্রুতই আরোগ্য লাভ করবেন
SPONSORED Books online reading
A book free
An health issue
And book
B o k
রসুন
ধাতু ক্ষয় রোগ হলে রসুনের ক্ষীর একটি উপকারি ও মহ ঔষধ। প্রাচিন চিকিৎসা পদ্দদিতে রসুনের ঘন ক্ষীর খয়াবার কথা উল্লেখ করা আছে। পূর্ণ বয়স্ক রোগীকে সারা দিনে ৫ (পাঁচ) গ্রাম পরিমান দিনে একবার খয়াতে হবে। রসুনের ক্ষীর যক্ষ্মা রোগের মহা ঔষধ। সাধারণ সুস্থ মানুষ রসুনের ক্ষীর খেলে দেহের পুষ্টি সাধন হয় এবং শরীরের কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর থেকে আপনার সমস্যাও মিটতে পারে।
আরও কিছু জিনিস যা আপনি মানলে আপনার সমস্যাও মিতে যেতে পারে সেগুলো হল,
SPONSORED Books online reading
B oo k
Bangla kolkata
Bangla mp3
B
হস্তমৈথুন কমিয়ে ফেলা বা বন্ধ।
ব্যায়াম।
পর্নগ্রাফী এড়িয়ে যাওয়া।
নতুন কোন শখের দিকে আগ্রহী।
বন্ধুত্ব পূর্ণ সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি।
বিছানায় যাওয়ার আগে উষ্ণ জল দিয়ে স্নান করা ।
কোন পর্নগ্রাফী দেখবেন না শোয়ার আগে বা শোয়ার সময়।
ঢিলাঢালা রাতের পোশাক পড়বেন
দুঃশ্চিন্তা কমাবেন এবং মেডিটেড করবেন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রাম নেবেন।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যখাবেন।
আপনার smoking বা alcohol এর অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন আস্তে আস্তে।
আপনি relaxation technique চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
শেষ কথা
স্বপ্ন দোষ, হস্তমৈথুন ইত্যাদির ফলে আমাদের ধাতু রোগ তৈরী হয়ে থাকে সাধারণত। চিন্তার কোনো কারণ নেই ওপরের উল্লেখিত টোটকা গুলি যদি মেনে চলা যায় তাহলে দেখবেন আপনার সমস্যা কত রতাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। কিছু অভ্যাস আছে অনেকের যেটা আস্তে আস্তে পাল্টাতে হবে কারণ অভ্যাসগুলো খারাপ অভ্যাস। কিন্তু একটা কথা কি জানেন যে কোনো ভালো বা মন্দ অভ্যাস আমরা একদিনে পাল্টাতে পারিনা। খুউব কম লোক আছেন যারা একদিনে তাদের খারাপ অভ্যাস পাল্টে ফেলেছে বা পাল্টায়। আস্তে আস্তে চেষ্টা করবেন আপনার খারাপ অভ্যাস গুলো পাল্টাতে। যেমন হস্তমৈথুন, পর্নোগ্রাফি দেখা, সেক্স নিয়ে বেশি আলোচনা করা ইত্যাদি এইসব জিনিস গুলো যদি আস্তে আস্তে কমিয়ে দেন তাহলে আপনার সমস্যা আপনা আপনি কমে যাবে। ভালো থাকবেন আর সুস্থময় জীবন লাভ করুন। ধন্যবাদ।

মন্তব্যসমূহ

  1. amar problem holo posab ar sata bijjo bairb hoi kno abon ar potikar

    উত্তরমুছুন
  2. আমার ধাতু রোগ আছে এবং আমার লিঙ্ক খুব দুর্বল এবং হস্ত মৈথুন করলে খুব তারা তারি বিরজো পাঁচ হয়ে যায় এই রোগ ভালো করতে হলে আমাকে কি করতে হবে

    উত্তরমুছুন
  3. ধাতু ক্ষয় হলে কি মাথা ব্যাথা করে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে?

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গর্ভাবস্থায় কত মাস পর্যন্ত সহবাস করা যাবে?

মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস করলে কি হয়?